পাখনা হচ্ছে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর পানিতে চলাচল (যেমন-সাঁতার কাটা) ও ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গ।
পাখনার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে মাছে প্রধানত পাঁচ প্রকারের পাখনা দেখতে পাওয়া যায়। যথা- পৃষ্ঠ পাখনা, পুচ্ছ পাখনা, পায়ু পাখনা, বক্ষ পাখনা ও শ্রোণী পাখনা। এছাড়াও অনেক সময় পায়ু পাখনা মাছের সম্পূর্ণ অঙ্কীয় প্রান্ত জুড়ে অবস্থান করে তখন পায়ু পাখনাকে অঙ্কীয় পাখনাও বলা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে সংখ্যার উপর ভিত্তিক করে দুই প্রকারের পাখনা দেখতে পাওয়া যায়। যথা – জোড় পাখনা ও বিজোড় পাখনা। মাছে উপস্থিত হুবহু একই ধরণের এক জোড়া পাখনাকে জোড় পাখনা বলে যেমন- বক্ষ পাখনা ও শ্রোণী পাখনা। অন্যদিক মাছে উপস্থিত এক বা একাধিক সংখ্যক পাখনা যারা হুবহু একই রকম নয় তাদের বিজোড় পাখনা বলা হয়ে থাকে যেমন- পৃষ্ঠ পাখনা, পুচ্ছ পাখনা, পায়ু পাখনা, অঙ্কীয় পাখনা ইত্যাদি। অনেক মাছে দুটি অর্থাৎ এক জোড়া পৃষ্ঠ পাখনা থাকে কিন্তু সেগুলো হুবহু একই রকমের নয় বলে সেগুলো জোড় পাখনার পরিবর্তে বিজোড় পাখনার অন্তর্ভুক্ত। বিজোড় পাখনা মধ্যগ পাখনা (median fin) নামেও পরিচিত।
বাংলা: পাখনা
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.