যে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রাণী তার পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে তাকে শ্বসন বলে। এ প্রক্রিয়াটি বহি:শ্বসন নামেও পরিচিত। অন্যদিকে যে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কোষস্থ জটিল জৈবযৌগ (শর্করা ও চর্বি) জারিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন
কোয়াড্রেট অস্থি
কোয়াড্রেট অস্থি (সংক্ষেপে কোয়াড্রেট) হল অধিকাংশ মেরুদণ্ডীর উপরের চোয়ালের (মাথার খুলির) শেষ প্রান্তে (পশ্চাৎ-অঙ্কীয় কিনারায়) অবস্থিত কোমলাস্থি নির্মিত একটি অস্থি বা হাড়। অস্থি-বিশিষ্ট মাছ, উভচর, সরীসৃপ ও পাখিতে এ অস্থির মাধ্যমেই নিচের চোয়াল আটকে থাকে। স্তন্যপায়ীতে এ অস্থি অবলুপ্ত হয়ে
প্লাঙ্কটন
আণুবীক্ষণিক জলজ জীব যারা স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে অসমর্থ তারাই প্লাঙ্কটন (Plankton) । প্রধানত দুই ধরণের। যথা- ফাইটোপ্লাঙ্কটন (Phytoplankton): এরা উদ্ভিদ জাতীয় প্লাঙ্কটন (উদাহরণ- ডায়াটমস, সায়ানোব্যাকটেরিয়া, ডায়ানোফ্লাজিলেট ইত্যাদি) এবং জুপ্লাঙ্কটন (Zooplankton): এরা প্রাণী জাতীয় প্লাঙ্কটন (উদাহরণ- আণুবীক্ষণিক প্রোটোজোয়ানস, ক্রাস্টেসিয়ানস, বৃহৎ
স্নায়ু
স্নায়ু (Neurone or Neuron) বা স্নায়ুকোষ (Nerve cell) হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজের একক যা একটি কোষদেহ (Cell body) এবং এক্সোন (Axon) ও ডেনড্রাইট (Dendrite) নামক স্নায়ুতন্তু (fibres or process) নিয়ে গঠিত। স্নায়ুকোষদেহে নিউক্লিয়াস উপস্থিত এবং স্নায়ুতন্তু এর শেষ প্রান্ত
মেসোডার্ম
ত্রিস্তর বিশিষ্ট প্রাণীদের ভ্রূণীয় তিনটি স্তরের মধ্যবর্তী স্তরকে মেসোডার্ম (Mesoderm) বলে। অন্য দুটি স্তরের মধ্যে বাহিরেরটি এক্টোডার্ম (Ectoderm) এবং ভেতরেরটি এন্ডোডার্ম (Endoderm)। গ্রিক শব্দ mesos অর্থ মধ্য (middle) এবং derma অর্থ চামড়া (skin)। ভ্রূণীয় এ স্তর থেকেই পরিণত প্রাণীর পেশী,
লার্ভা
লার্ভা (Larva) কোন কোন প্রাণীর জীবনচক্রের একটি দশা যা ডিম ফোটার পর থেকে শুরু হয় এবং রূপান্তর প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিণত হবার পূর্ব পর্যন্ত চলে। যেমন- ব্যাঙাচি। লার্ভা দশার অঙ্গ সংস্থানিক বৈশিষ্ট্য প্রাণীর ভ্রূণ ও পরিণত দশা থেকে ভিন্ন হয়ে
বৃক্ক
বৃক্ক (kidney) মেরুদণ্ডী প্রাণীদের প্রধান রেচনাঙ্গ যা বহুসংখ্যক মালপিজিয়ান অঙ্গ (malpighian bodies) নিয়ে গঠিত। প্রতিটি মালপিজিয়ান অঙ্গ গ্লোমেরুলাস (glomerulus) নামক পেঁচানো রক্তনালী নিয়ে গঠিত যা ফানেলাকৃতির ক্যাপসুলের মধ্যে সন্নিবিষ্ট অবস্থায় থাকে। অমেরুদণ্ডী প্রাণীতে যেসব অঙ্গ বৃক্কের ন্যায় কাজ করে তাদেরকেও
ঘাড়ের পাখনা
কোন কোন মাছের (Blennies: Blennioidei গোত্রের মাছ) শ্রোণী পাখনা (Pelvic fin) বক্ষ পাখনার (Pectoral fin) অবস্থানের অগ্রভাগে (Anterior region) অবস্থান করে। এ ধরণের শ্রোণী পাখনাকে ঘাড়ের পাখনা (Jugular fin) বলা হয়ে থাকে। Jugular fin: In some fishes (Blennies:
ত্বক
ত্বক বা বহিরাবরণ বলতে প্রাণিদেহের সবচেয়ে বাহিরের প্রাকৃতিক আবরণকে বোঝায়। যথা- চামড়া (Skin), খোলক (Shell), ক্যারাপেজ (Carapace), কিউটিকল (Cuticle) ইত্যাদি। মাছসহ সকল মেরুদণ্ডীদের ত্বক বা বহিরাবরণ হচ্ছে চামড়া, মোলাস্কা পর্বের প্রাণীদের রয়েছে খোলক, অনেক সন্ধিপদী প্রাণীতে দেখতে পাওয়া যায় ক্যারাপেজ
হৃদযন্ত্র
পাম্পের মাধ্যমে রক্ত সংবহনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রাণীর সারা দেহে রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করার পেশী নির্মিত অঙ্গই হচ্ছে হৃদযন্ত্র। এটি মূলত রক্তনালীর একটি বিশেষায়িত গঠন যা কমপক্ষে দুটি কপাটিকার মাধ্যমে রক্তকে পেছনের দিকে প্রবাহিত হতে বাঁধা দেয়। দুই বা ততোধিক প্রকোষ্ঠ নিয়ে
ফুলকা
যে অঙ্গের মাধ্যমে জলজ প্রাণীরা নিজেদের চারপাশের জলস্থ দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে আর কোষস্থ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে তাকে ফুলকা বলে। জলজ শ্বসনের জন্য ফুলকাই প্রধান শ্বসনাঙ্গ। রুই মত অস্থি বিশিষ্ট মাছে চার জোড়া ফুলকা দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে হাঙ্গরের মত কোমলাস্থি
সাইক্লোয়েড আঁইশ
পাতলা, প্রায় গোলাকার, সমান প্রান্ত বিশিষ্ট ও চাকতি আকৃতির আঁইশকে সাইক্লোয়েড আঁইশ (Cycloid scale) বলা হয়। অধিকাংশ রুই জাতীয় মাছ এবং নরম পাখনা রশ্মি বিশিষ্ট অন্যান্য মাছে এ আঁইশ দেখতে পাওয়া যায়। এ ধরণের আঁইশ অধিক্রমণ ধাঁচে (overlapping pattern) সজ্জিত
পৃষ্ঠদেশ
পৃষ্ঠদেশ (dorsal side) বলতে সাধারণত প্রাণীর পিঠের বা উপরের দিকের নিকটবর্তী অংশকে বোঝায়। চলার সময় মাছের দেহের এ প্রান্তটি সর্বদাই জলাশয়ের তলদেশের বিপরীত দিকে অবস্থান করে থাকে। পৃষ্ঠদেশ পেট, উদর বা অঙ্কীয় প্রান্তের বিপরীতে অবস্থান করে। সকল মেরুদণ্ডীর মেরুদণ্ড পৃষ্ঠদেশের