ডিমপোনার কুসুম থলি (yolk-sac) নিঃশেষ হবার পর মাছ যখন সক্রিয়ভাবে খাদ্য গ্রহণ শুরু করে তখন তাকে পোনা (Fry) বলে। বয়স ও আকারের উপর ভিত্তি করে পোনাকে আবার রেণু পোনা, ধানী পোনা ও চারা পোনা বা আঙ্গুলী পোনা ইত্যাদি ভাগে ভাগ
স্পন
Noun (বিশেষ্য) হিসেবে: জলজ প্রাণী কর্তৃক জলজ পরিবেশে ত্যাগকৃত বা জমাকৃত ডিম্বাণু (ova, একবচনে ovum) বা শুক্রাণুকে (sperms, একবচনে sperm) স্পন (Spawn) বলে। Verb (ক্রিয়াপদ) হিসেবে: জলজ প্রাণী কর্তৃক জলজ পরিবেশে ডিম্বাণু (ova, একবচনে ovum) বা শুক্রাণু (sperms, একবচনে sperm)
প্রজননত্তোর মাছ
প্রজননত্তোর মাছ (Spent Fish) বলতে এমন স্ত্রী বা পুরুষ মাছকে বোঝায় যেমাছ এইমাত্র ডিম্বাণু (ovum) বা শুক্রাণু (sperm) ত্যাগ করেছে। অন্য ভাষায় প্রজনন কাজে সদ্য ব্যবহৃত স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে প্রজননত্তোর মাছ (Spent Fish) বলে।
ধানী পোনা
ধানী পোনা বলতে রেণু পোনার পরবর্তী অবস্থা হতে ১.৫-২ সেমি পর্যন্ত আকারের পোনাকে বোঝায়। এই পোনার আকার ধানের আকারের সমান হয়ে থাকে বলেই একে ধানী পোনা বলে। সাধারণত রুই জাতীয় মাছের ক্ষেত্রে ৪-৫ দিন বয়সের রেণু পোনা সঠিকভাবে লালন-পালন করলে
চারা পোনা
চারা পোনা বা আঙ্গুলী পোনা (Fingerlings) বলতে মানব আঙ্গুলের সমান আকার বিশিষ্ট মাছের পোনাকে বোঝায়। রুই জাতীয় মাছের ক্ষেত্রে ধানী পোনা পরবর্তী অবস্থা থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারের পোনা Fingerlings (আঙ্গুলী পোনা) হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ দশায় পোনার পাখনা
আঙ্গুলী পোনা
আঙ্গুলী পোনা বা চারা পোনা (Fingerlings) বলতে মানব আঙ্গুলের সমান আকার বিশিষ্ট মাছের পোনাকে বোঝায়। রুই জাতীয় মাছের ক্ষেত্রে ধানী পোনা পরবর্তী অবস্থা থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারের পোনা আঙ্গুলী পোনা (Fingerlings) হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ দশায় পোনার পাখনা
রেণু পোনা
ডিমপোনার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে রেণু পোনা (post larval fish)। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পরবর্তী কয়েক দিন ডিমপোনা তার গলবিলে অবস্থিত কুসুম থলি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। কুসুম থলির পুষ্টি নিঃশেষ হয়ে গেলে এরা প্রকৃতি থেকে খাদ্য গ্রহণ শুরু
ডিম্ব
সহজ কথায় ডিম্ব বা ডিম (Egg) বলতে প্রাণীর নিষিক্ত ডিম্বাণু তথা নিষিক্ত স্ত্রী প্রজনন কোষকে বোঝায় যেখানে ভ্রুণ বিকাশমান বা পরিস্ফুটনরত (developing) অবস্থায় থাকে। ডিম্ব নিষিক্ত হওয়ায় এর ক্রোমোজম সংখ্যা ডিপ্লয়েড (Diploid) হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন একটি প্রজাতির দেহকোষে দুই
ডিম
সহজ কথায় ডিম বা ডিম্ব (Egg) বলতে প্রাণীর নিষিক্ত ডিম্বাণু তথা নিষিক্ত স্ত্রী প্রজনন কোষকে বোঝায় যেখানে ভ্রুণ বিকাশমান বা পরিস্ফুটনরত (developing) অবস্থায় থাকে। ডিম নিষিক্ত হওয়ায় এর ক্রোমোজম সংখ্যা ডিপ্লয়েড (Diploid) হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন একটি প্রজাতির দেহকোষে দুই
শুক্রাণু
সহজ ভাষায় শুক্রাণু (বহুবচনে Sperms এবং এববচনে Sperm) হচ্ছে পুরুষ প্রজনন কোষ। পুরুষ প্রজনন কোষ “পুরুষ জনন কোষ” বা “পুং জনন কোষ” নামেও পরচিত। এই কোষ পুরুষ প্রাণীর শুক্রাশয় বা অণ্ডকোষে (testis, a male gonad) উৎপন্ন হয় এবং এর ক্রোমোজম
ডিম্বাণু
সহজ ভাষায় ডিম্বাণু (এববচনে Ovum এবং বহুবচনে Ova) হচ্ছে স্ত্রী প্রজনন কোষ। এই কোষ স্ত্রী প্রাণীর ডিম্বাশয়ে (ovary, a female gonad) উৎপন্ন হয় এবং এর ক্রোমোজম সংখ্যা সবসময়ই হ্যাপ্লয়েড (Haploid) হয়ে থাকে অর্থাৎ সাধারণত কোন একটি প্রজাতির দেহকোষে দুই সেট
মীন
মীন “মাছ” এর প্রতিশব্দ। মাছের অন্য একটি বহুল প্রচলিত প্রতিশব্দ হচ্ছে মৎস্য। তাই বলা যায় মীন হচ্ছে শীতলরক্ত বিশিষ্ট জলজ মেরুদণ্ডী প্রাণী যাদের জলজ শ্বসনের জন্য ফুলকা এবং সাঁতার কাটার জন্য জোড়-বিজোড় পাখনা রয়েছে।
মাৎস্য
মাছ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন জলজ প্রাণীর দল (Group) মাৎস্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যেমন মাছ, চিংড়ি, কচ্ছপ ইত্যাদিকে সম্মিলিতভাবে মাৎস্য বলা হয়। অন্যদিকে মৎস্য বলতে কেবলমাত্র শীতলরক্ত বিশিষ্ট জলজ মেরুদণ্ডী প্রাণী বোঝায় যাদের জলজ শ্বসনের জন্য ফুলকা এবং