যে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রাণী তার পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে তাকে শ্বসন বলে। এ প্রক্রিয়াটি বহি:শ্বসন নামেও পরিচিত। অন্যদিকে যে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কোষস্থ জটিল জৈবযৌগ (শর্করা ও চর্বি) জারিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করার পাশাপাশি শক্তি অবমুক্ত করে তাকে অভ্যন্তরীণ বা কোষীয় শ্বসন বলে।
বায়ুশ্বাসী মেরুদণ্ডীরা ফুসফুসের সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে কোষে পৌঁছায় এবং কোষে জারণের ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ত্যাগ করে। অন্যদিকে জলজ মেরুদণ্ডী ও অনেক অমেরুদণ্ডীরা ফুলকার সাহায্যে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে কোষে পৌঁছায় এবং কোষে জারণের ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড পানিতে ত্যাগ করে।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, যে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় পরিবেশ থেকে গৃহীত অক্সিজেন রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে কোষে পৌঁছে কোষস্থ জটিল জৈবযৌগ (শর্করা ও চর্বি) ভেঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করার পাশাপাশি শক্তি অবমুক্ত করে এবং উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশে ত্যাগ করে তাকে শ্বসন বলে।
Respiration:
Respiration is a physiological process by which organisms exchange gases (especially intake of oxygen and release of carbon dioxide), with the environment. This process is also known as external respiration. On the other hand, internal or cellular respiration means the oxidation of complex organic substances (carbohydrates or fats) within cells and tissues to form carbon dioxide and water with release of energy.
Respiration takes place in the lungs in air-breathing vertebrates and through the gills in fishes and many invertebrates.