কর্ডেটস এর গলবিল অঞ্চলের উভয় পাশের দেহ-প্রাচীরে অবস্থিত যেসব ছিদ্র (বা রন্ধ্র) গলবিলের অভ্যন্তরীণ ও বাহিরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা করে সেসব ছিদ্রকে ফুলকাছিদ্র (বা ফুলকারন্ধ্র) বলে।
হাঙ্গরজাতীয় মাছে এদের সংখ্যা ৫-৭ জোড়া। অন্যদিকে সাইক্লোস্টোমাটায় ১-১৫ জোড়া পর্যন্ত ফুলকাছিদ্র থাকতে পারে। এসব প্রাণীতে সাধারণত প্রতিটি ফুলকার জন্য আলাদা আলাদা ফুলকাছিদ্র দেখতে পাওয়া যায় এবং এই ছিদ্রগুলো খোলা বা বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কানকোর মত কোন অবকাঠামো থাকে না বরং এই ছিদ্রগুলো নিজেরাই সক্রিয়ভাবে খোলা বা বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
অন্যদিকে অস্থিধারী মাছে প্রতিটি ফুলকার বিপরীতে একটি করে ফুলকাছিদ্র থাকার পরিবর্তে উপস্থিত চার জোড়া ফুলকার বিপরীতে একজোড়া প্রশস্ত ছিদ্র (যা গঠনগত দিক থেকে ফুলকাছিদ্র থেকে আলাদা) দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রশস্ত ছিদ্রই বাহিরের পরিবেশের সাথে ফুলকার সংযোগ রক্ষা করে থাকে। এই প্রশস্ত ছিদ্র কানকোর (operculum) নামক অস্থি নির্মিত ঢাকনার সাহায্যে বন্ধ বা উন্মুক্ত হতে পারে।
সাধারণত কর্ডেটের ভ্রূণীয় দশায় ফুলকা-ছিদ্র দেখতে পাওয়া যায় যা শ্বসন ছাড়াও খাদ্যগ্রহণে সাহায্য করে। ফুলকারন্ধ্রধারী কর্ডেটের সারাজীবন ফুলকা-রন্ধ্র দেখতে পাওয়া গেলেও ফুসফুসধারী কর্ডেটের বিকাশ বা রূপান্তর পরবর্তী বৃদ্ধিকালে এগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়।
English: Gill slits
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.