চোখ

চোখ হচ্ছে প্রাণীর দর্শন অঙ্গ যা আলোক তরঙ্গ সনাক্ত করতে সক্ষম। কোন পদার্থ থেকে প্রতিফলিত আলো এই অঙ্গের মাধ্যমেই প্রাণীরা সনাক্ত করে এবং বস্তুটি দেখতে সক্ষম হয়। উন্নত প্রাণীর মত মাছেও একজোড়া চোখ বর্তমান। চোখ আলোর উপস্থিতি, অনুপস্থিতি ছাড়াও আলোর

হিমশোণিত প্রাণী

যাদের দেহের তাপমাত্রা শরীরবৃত্তীয়ভাবে (physiologically) নিয়ন্ত্রিত না হয়ে বাহ্যিক পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে তাদেরকে হিমশোণিত প্রাণী বা শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী (Cold blooded animal) বলে। বাহ্যিক পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বিধায় এদের দেহের তাপমাত্রা সুনির্দিষ্ট থাকে না। অর্থাৎ পরিবেশের

শীতনিদ্রা

শীতকালে অর্থাৎ শীতল পরিবেশে সাধারণত শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীরা (Poikilothermic or Ectothermic or Cold blooded animal) নিষ্ক্রিয় জীবন যাপন করে থাকে যাকে শীতনিদ্রা (Hibernation) বলে। শীতনিদ্রায় যাওয়া প্রাণীদের বিপাকক্রিয়া, শ্বসন ও রক্তসঞ্চালন অত্যন্ত ধীরগতির তথা সর্ব নিম্নপর্যায়ে থাকে। এ সময়

গ্রীষ্মনিদ্রা

গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ উষ্ণ পরিবেশে শীতল-রক্ত বিশিষ্ট (Poikilothermic বা Ectothermic বা Cold-blooded) প্রাণীরা নিষ্ক্রিয় জীবন যাপন করে থাকে যাকে গ্রীষ্মনিদ্রা (Aestivation) বলে। গ্রীষ্মনিদ্রায় যাওয়া প্রাণীদের নড়াচড়া, বিপাকক্রিয়া, শ্বসন ইত্যাদি অত্যন্ত ধীরগতির তথা সর্ব নিম্নপর্যায়ে থাকে। এসময় খাদ্য গ্রহণ না করায় প্রয়োজনীয়

খণ্ডকায়ন

অনুদৈর্ঘ্য বরাবর প্রাণীদেহের একই রকম খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত হবার বিষয়টিই হচ্ছে খণ্ডকায়ন(খণ্ডায়ন হিসেবেও পরিচিত)। খণ্ডকায়ন বাহ্যিকভাবে দৃশ্যমান হলে তাকে বাহ্যিক খণ্ডকায়ন(External metamerism) বলে। যেমন- কেঁচো, আরশোলাতে বাহ্যিক খণ্ডকায়ন দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে মেরুদণ্ডীদের খণ্ডকায়ন কেবলমাত্র কশেরুকা (Vertebrae) আর স্নায়ু গ্যাংগ্লিয়াতে

খণ্ডায়ন

অনুদৈর্ঘ্য বরাবর প্রাণীদেহের একই রকম খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত হবার বিষয়টিই হচ্ছে খণ্ডায়ন (খণ্ডকায়ন হিসেবেও পরিচিত)। খণ্ডায়ন বাহ্যিকভাবে দৃশ্যমান হলে তাকে বাহ্যিক খণ্ডায়ন (External metamerism) বলে। যেমন- কেঁচো, আরশোলাতে বাহ্যিক খণ্ডায়ন দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে মেরুদণ্ডীদের খণ্ডায়ন কেবলমাত্র কশেরুকা (Vertebrae) আর

শব্দ

শব্দ হচ্ছে এক প্রকার কম্পাঙ্ক যা কোন কম্পমান উপকরণ থেকে উৎপন্ন হয়ে তরঙ্গ আকারে কোন না কোন মাধ্যমের (যেমন- গ্যাস (বাতাস), তরল (পানি, তেল ইত্যাদি) অথবা কঠিন পদার্থ (ধাতব পদার্থ, প্লাস্টিক, কাঠ ইত্যাদি) মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হয় এবং মূলত মেরুদণ্ডীদের

কর্ণ

মেরুদণ্ডী প্রাণীরা যে ইন্দ্রিয় (বা গ্রাহক অঙ্গ) এর মাধ্যমে শব্দ সনাক্ত করতে পারে তাকে কর্ণ (বা কান) বলে। কর্ণ প্রধানত শ্রবণের কাজ করে। এছাড়াও প্রাণীর দেহের অবস্থান ও ভারসাম্য বজায় রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি উন্নত প্রাণীদের শ্রবণতন্ত্রের (auditory

কান

মেরুদণ্ডী প্রাণীরা যে ইন্দ্রিয় (বা গ্রাহক অঙ্গ) এর মাধ্যমে শব্দ সনাক্ত করতে পারে তাকে কান (বা কর্ণ) বলে। কান প্রধানত শ্রবণের কাজ করে। এছাড়াও প্রাণীর দেহের অবস্থান ও ভারসাম্য বজায় রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি উন্নত প্রাণীদের শ্রবণতন্ত্রের (auditory

কর্ডাটা

কর্ডেটসদের (chordates) নিয়ে গঠিত প্রাণীদল তথা প্রাণী পর্বই হচ্ছে কর্ডাটা (chordata)। কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের সারাজীবন বা জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে নটকর্ড (notochord), গলবিলের ফুলকা-ছিদ্র (pharyngeal gill slits) ও পৃষ্ঠদেশস্থ ফাঁপা স্নায়ু-রজ্জু (hollow dorsal nerve cord) দেখতে পাওয়া যায়। এ

কর্ডেটস

যেসব প্রাণীদের দেহে সারাজীবন বা জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে নটকর্ড (notochord), গলবিলের ফুলকা-ছিদ্র (pharyngeal gill slits) ও পৃষ্ঠদেশস্থ ফাঁপা স্নায়ু-রজ্জু (hollow dorsal nerve cord) বর্তমান তাদেরকে কর্ডেটস (একবচনে কর্ডেট, chordate) বলে। এরা কর্ডাটা পর্বের (phylum chordata) অন্তর্ভুক্ত। এ পর্বের

প্রোকেরিয়টিক কোষ

যে কোষের নিউক্লিয়াস আদর্শ পর্দা বা ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ নয় তাকে প্রোকেরিয়টিক কোষ বলে। মনেরা (Monera) বা প্রোকেরিওটা (Prokaryota) জীবরাজ্যের প্রাণী যেমন ব্যাকটেরিয়া, সায়ানোব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি প্রোকেরিয়টিক কোষের উদাহরণ। তবে বহুকোষী জীবের জীবনের কোন দশা যেমন মিক্সোব্যাকটেরিয়া এবং কোন কোন ব্যাকটেরিয়ার

প্রোকেরিয়টস

প্রোকেরিয়টস বলতে একদল জীবকে বোঝায় যাদের কোষের নিউক্লিয়াস আদর্শ পর্দা বা ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ নয়। অধিকাংশ প্রোকেরিয়টস এককোষী হয়ে থাকে। তবে বহুকোষী জীবের জীবনের কোন নির্দিষ্ট দশা প্রোকেরিয়টস হয়ে থাকে, যেমন মিক্সোব্যাকটেরিয়া। আবার কোন কোন ব্যাকটেরিয়ার প্রোকেরিয়টস কিন্তু তারা উপনিবেশ