অধর বলতে মানুষসহ অন্যান্য অনেক প্রাণীর মুখের নীচের নরম ও সচল উন্মুক্ত প্রান্তকে বোঝায়। অন্যদিকে উপরের প্রান্ত ওষ্ঠ নামে পরিচিত। ওষ্ঠ ও অধর সম্মিলিতভাবে ঠোঁট গঠন করে যা খাবার গ্রহণ ও বর্ণ বা শব্দ উচ্চারণে শব্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
অন্তত্বক
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ত্বক তথা চামড়ার এপিডার্মিস নামক বহিঃত্বকের নীচে অবস্থিত পুরু, নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক কোষীয় স্তরটিই হচ্ছে অন্তত্বক [প্রচলিত বানান অন্তঃত্বক (Dermis বা Corium)] যা ভ্রূণীয় মেসোডার্ম (Mesoderm) থেকে উৎপত্তি লাভ করে এবং তন্তুময় যোজক কলা (Fibrous connective tissue) নির্মিত। এ
অন্তঃত্বক
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ত্বক তথা চামড়ার এপিডার্মিস নামক বহিঃত্বকের নীচে অবস্থিত পুরু, নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক কোষীয় স্তরটিই হচ্ছে অন্তঃত্বক (Dermis বা Corium) যা ভ্রূণীয় মেসোডার্ম (Mesoderm) থেকে উৎপত্তি লাভ করে এবং তন্তুময় যোজক কলা (Fibrous connective tissue) নির্মিত। এ স্তরে রক্ত
অ্যাসিলোমাটা
অ্যাসিলোম (Acoelom) বিশিষ্ট প্রাণীরা যে দলের অন্তর্ভূক্ত তাকে অ্যাসিলোমাটা (Acoelomata) বলে। যেসব প্রাণীদের দেহগহ্বর তরল পদার্থে পূর্ণ না থেকে মেসোডার্ম উদ্ভূত কোষ ও কলা দিয়ে নিরেটভাবে পূর্ণ থাকে তাদের অ্যাসিলোমেট (Acoelomate) বলে [বহুবচনে অ্যাসিলোমেটস (acoelomates)]। যেমন- প্ল্যাটিহেলমিনথিস (platyhelminthes) পর্বের প্রাণী
অপ্রকৃত দেহগহ্বর
যখন কোন প্রাণীর তরলে পূর্ণ দেহগহ্বরে মেসোডার্ম উদ্ভূত আবরণী (peritoneum) অনুপস্থিত থাকে তখন তাকে অপ্রকৃত দেহগহ্বর বা অপ্রকৃত সিলোম (pseudocoelom) বলে। এটি সিউডোসিল (pseudocoel) নামেও পরিচিত। অপ্রকৃত দেহগহ্বর বা সিলোম বিশিষ্ট প্রাণীকে সিউডোসিলোমেট (pseudocoelomate), প্রাণিদেরকে সিউডোসিলোমেটস (pseudocoelomates) এবং প্রাণীর দলকে
অপ্রকৃত সিলোম
যখন কোন প্রাণীর তরলে পূর্ণ দেহগহ্বরে মেসোডার্ম উদ্ভূত আবরণী (peritoneum) অনুপস্থিত থাকে তখন তাকে অপ্রকৃত সিলোম বা অপ্রকৃত দেহগহ্বর (pseudocoelom) বলে। এটি সিউডোসিল (pseudocoel) নামেও পরিচিত। অপ্রকৃত সিলোম বা দেহগহ্বর বিশিষ্ট প্রাণীকে সিউডোসিলোমেট (pseudocoelomate), প্রাণিদেরকে সিউডোসিলোমেটস (pseudocoelomates) এবং প্রাণীর দলকে
অ্যাসিলোম
যখন কোন প্রাণীর দেহগহ্বর তরল পদার্থের পরিবর্তে কোষ ও কলা দিয়ে পূর্ণ থাকে তখন তাকে অ্যাসিলোম (acoelom) বলে। এ ধরণের সিলোমে মেসোডার্ম উদ্ভূত আবরণীও (peritoneum) অনুপস্থিত থাকে। অ্যাসিলোম বিশিষ্ট (অর্থাৎ তরলে পূর্ণ দেহগহ্ববিহীন) প্রাণীকে অ্যসিলোমেট (acoelomate) বা দেহগহ্বরবিহীন বা সিলোমবিহীন
অগ্ন্যাশয়
অগ্ন্যাশয় হচ্ছে পাকস্থলীর সন্নিকটে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ পরিপাক গ্রন্থি যা অ্যাসিনার (Acinar) কোষ এবং আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স (Islets of Langerhans) কোষ নিয়ে গঠিত। অ্যাসিনার কোষ বহিঃক্ষরা গ্রন্থি (Exocrine) গঠন করে যা অগ্ন্যাশয় রস নিঃসরণ করে। অন্যদিকে আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স কোষ অন্তঃক্ষরা
অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ
অনেক মাছে জলজ শ্বসন অঙ্গ ফুলকা ছাড়াও বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণে সক্ষম এমন অঙ্গ দেখতে পাওয়া যায় যাকে অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ (Accessory respiratory organ) বলে। যেমন- ইল জাতীয় মাছ Anguilla anguilla এর ত্বক, টাকি মাছের ফ্যারেঞ্জিয়াল ডাইভারটিকুলা (Pharyngeal diverticula),
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি
যে নিঃসারক কলা তথা গ্রন্থির ক্ষরণ (মূলত হরমোন (hormone)) সরাসরি রক্ত বা লিম্ফ (lymph) প্রবাহে নিক্ষিপ্ত হয় তাদের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি (Endocrine gland) বলে। যেমন- থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid gland), পিটুইটারি গ্রন্থি (Pituitary gland), আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স (Islets of Langerhans), অ্যাডরিনাল গ্রন্থি
অভিপ্রয়াণ
খাদ্য গ্রহণ, প্রজনন, অনুকূল পরিবেশ প্রাপ্তি ইত্যাদি উদ্দেশ্যে প্রাণী জনতার (animal population) সকল সদস্য অথবা বেশিরভাগ সদস্যের বসবাসস্থল হতে অন্যস্থানে (এক বা একাধিক) গমন এবং উদ্দেশ্য পূরণের পর পুনরায় পূর্বের স্থানে ফিরে আসাকে অভিপ্রয়াণ (migration) বলে। মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি,
অ্যারেক্টর পিলি
স্তন্যপায়ীদের প্রতিটি লোম একটি লোমকূপের (Hair follicle) মধ্যে অবস্থান করে। প্রতিটি লোমকূপের সাথে একটি করে ক্ষুদ্রাকার মসৃণ পেশী থাকে যাকে অ্যারেক্টর পিলি (Arrector pili) বলে। এই পেশির সংকোচনেই লোম খাড়া হয়। Arrector pili: Arrector pili (plural: arrectores pilorum)
অ্যাসিলোমেট
যেসব প্রাণীদের পৌষ্টিকনালি বহিঃ আবরণী ও দেহ-প্রাচীরের অন্তঃ আবরণীর মধ্যবর্তী স্থান নিরেটভাবে মেসোডার্ম উদ্ভূত কোষ বা কলা দিয়ে পূর্ণ থাকে তাদের অ্যাসিলোমেট (Acoelomate) বলে [বহুবচনে বলে অ্যাসিলোমেটস (acoelomates)]। যেমন- প্ল্যাটিহেলমিনথিস (platyhelminthes) পর্বের প্রাণী চেপ্টা-কৃমি, ফিতা-কৃমি ইত্যাদি, নিডেরিয়া (cnidaria) পর্বের জেলি