আচরণবিদ্যা

প্রাণিবিজ্ঞানের যে শাখায় প্রাণীর আচরণ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত পাঠ ও আলোচনা করা হয় তাকে আচরণবিদ্যা (Ethology) বলে। অন্যভাবে বলা যায়, প্রাণীর আচরণ অধ্যয়নই হচ্ছে আচরণবিদ্যা। Ethology শব্দটি গ্রিক শব্দ ethos (অর্থাৎ স্বভাব চরিত্র) এবং logos (অর্থাৎ জ্ঞান, গবেষণা)

আচরণ

অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক উদ্দীপকের উপস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রাণী দেহে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তার বহিঃপ্রকাশকে আচরণ বলে। সহজ কথায় প্রাণী যা প্রকাশ করে তাই তার আচরণ। সাধারণত প্রাণীরা দেহ বা দেহাংশের নড়ন, চলন, মুখভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি, বর্ণ পরিবর্তন, লোম খাড়া করা, গন্ধ

আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স

আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স (Islets of Langerhans) হচ্ছে অগ্ন্যাশয়ে গুচ্ছাকারে অবস্থিত অন্তঃক্ষরা (Endocrine) কোষ তথা গ্রন্থি যা ইনসুলিন (insulin) ও গ্লুকাগন (glucagon) নামক হরমোন (hormone) নিঃসরণ করে। এটি আইল্যান্ড অব ল্যাঙ্গারহান্স (Islands of Langerhans) নামেও পরিচিত। জার্মান চিকিৎসক পল ল্যাঙ্গারহান্স (Paul

অগ্ন্যাশয়

অগ্ন্যাশয় হচ্ছে পাকস্থলীর সন্নিকটে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ পরিপাক গ্রন্থি যা অ্যাসিনার (Acinar) কোষ এবং আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স (Islets of Langerhans) কোষ নিয়ে গঠিত। অ্যাসিনার কোষ বহিঃক্ষরা গ্রন্থি (Exocrine) গঠন করে যা অগ্ন্যাশয় রস নিঃসরণ করে। অন্যদিকে আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স কোষ অন্তঃক্ষরা

অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ

অনেক মাছে জলজ শ্বসন অঙ্গ ফুলকা ছাড়াও বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণে সক্ষম এমন অঙ্গ দেখতে পাওয়া যায় যাকে অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ (Accessory respiratory organ) বলে। যেমন- ইল জাতীয় মাছ Anguilla anguilla এর ত্বক, টাকি মাছের ফ্যারেঞ্জিয়াল ডাইভারটিকুলা (Pharyngeal diverticula),

অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি

যে নিঃসারক কলা তথা গ্রন্থির ক্ষরণ (মূলত হরমোন (hormone)) সরাসরি রক্ত বা লিম্ফ (lymph) প্রবাহে নিক্ষিপ্ত হয় তাদের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি (Endocrine gland) বলে। যেমন- থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid gland), পিটুইটারি গ্রন্থি (Pituitary gland), আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স (Islets of Langerhans), অ্যাডরিনাল গ্রন্থি

অভিপ্রয়াণ

খাদ্য গ্রহণ, প্রজনন, অনুকূল পরিবেশ প্রাপ্তি ইত্যাদি উদ্দেশ্যে প্রাণী জনতার (animal population) সকল সদস্য অথবা বেশিরভাগ সদস্যের বসবাসস্থল হতে অন্যস্থানে (এক বা একাধিক) গমন এবং উদ্দেশ্য পূরণের পর পুনরায় পূর্বের স্থানে ফিরে আসাকে অভিপ্রয়াণ (migration) বলে। মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি,

অ্যারেক্টর পিলি

স্তন্যপায়ীদের প্রতিটি লোম একটি লোমকূপের (Hair follicle) মধ্যে অবস্থান করে। প্রতিটি লোমকূপের সাথে একটি করে ক্ষুদ্রাকার মসৃণ পেশী থাকে যাকে অ্যারেক্টর পিলি (Arrector pili) বলে। এই পেশির সংকোচনেই লোম খাড়া হয়।     Arrector pili: Arrector pili (plural: arrectores pilorum)

অ্যাসিলোমেট

যেসব প্রাণীদের পৌষ্টিকনালি বহিঃ আবরণী ও দেহ-প্রাচীরের অন্তঃ আবরণীর মধ্যবর্তী স্থান নিরেটভাবে মেসোডার্ম উদ্ভূত কোষ বা কলা দিয়ে পূর্ণ থাকে তাদের অ্যাসিলোমেট (Acoelomate) বলে [বহুবচনে বলে অ্যাসিলোমেটস (acoelomates)]। যেমন- প্ল্যাটিহেলমিনথিস (platyhelminthes) পর্বের প্রাণী চেপ্টা-কৃমি, ফিতা-কৃমি ইত্যাদি, নিডেরিয়া (cnidaria) পর্বের জেলি

জাইগোট

স্ত্রী জননকোষ (ডিম্বাণু) ও পুরুষ জননকোষের (শুক্রাণু) মিলনের ফলে উৎপন্ন কোষকে জাইগোট (Zygote) বলে। এটি জাইগোসাইট (Zygocyte) নামেও পরিচিত। জাইগোটে ডিপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোম (Chromosome) থাকে যার এক সেট (Set) আসে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট ডিম্বাণু থেকে এবং অন্য সেটটি আসে

কুসুম থলি

অস্থি বিশিষ্ট মাছের লার্ভা (larva) এবং সরীসৃপ ও পাখির ভ্রূণের পরিপাক নালীর থলি সদৃশ বর্ধিত অংশ যা কুসুম ধারণ করে তাকে কুসুম থলি বলে। কুসুম থলি মাছের অপত্যের অঙ্কীয়দেশে অবস্থান করে যা দেহের বাহির থেকেই দৃশ্যমান। ডিম ফুটে বাচ্চা বের

জ্যান্থোফিল

জ্যান্থোফিল (Xanthophyll) হচ্ছে উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষে প্রাপ্ত হলুদ রঞ্জক (প্রাকৃতিক বর্ণ সৃষ্টিকারী পদার্থ)। এর উপস্থিতিতে অনেক উদ্ভিদের পাতা, ফুল, পাকা ফল ইত্যাদি এবং অনেক প্রাণীর বহিরাবরণ, ডিমের কুসুম ইত্যাদির বর্ণ হলুদ হয়ে থাকে। জ্যান্থোফিল (Xanthophyll) শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ

ভেবেরিয়ান ওসিকলস

ভেবেরিয়ান ওসিকলস বা ভেবেরিয়ান এপারেটাস (Weberian ossicles or Weberian apparatus) হচ্ছে চারটি ক্ষুদ্র অস্থির গঠন যা বায়ুথলী বিশিষ্ট মাছের বায়ুথলীর (air bladder) সাথে অন্তঃকর্ণের ল্যাবিরিন্থকে (labyrinth) সংযুক্ত করেছে। সম্মুখ থেকে পশ্চাতে অবস্থান ক্রমে ক্ষুদ্র অস্থি চারটি হচ্ছে ক্লাসট্রাম (Claustrum), স্ক্যাফিয়াম